VTVUS

NEWS24/7

ঢাকা (০২ এপ্রিলচলতি অর্থবছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশে। ভারতের পরই বাংলাদেশ সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়েডেভেলপমেন্ট আউটলুকপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানায় সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংক জানায়, চলতি ২০২৩২৪ অর্থবছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে ভারত। এরপরই জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ হবে বাংলাদেশ। অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। এরপর ভুটান দশমিক শতাংশ, মালদ্বীপ দশমিক শতাংশ, নেপাল দশমিক শতাংশ, শ্রীলঙ্কা দশমিক শতাংশ এবং পাকিস্তান দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় সামগ্রিকভাবে শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বলেও জানায় সংস্থাটি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের জন্য প্রবৃদ্ধি এখনো প্রাকমহামারি স্তরের নিচে এবং তা জনসাধারণের ব্যয়ের ওপর নির্ভরশীল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের বৃদ্ধি দ্রুত মন্থর হয়েছে। অঞ্চলে দ্রুতবর্ধনশীল কর্মক্ষম জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না।বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রানজিস্কা ওনসর্গ এই প্রতিবেদনে জানান, দক্ষিণ এশিয়া তার জনশক্তিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটি সুযোগ হাতছাড়া করার মতো। যদি অঞ্চলটি অন্যান্য উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির মতো কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নিযুক্ত করে, তবে এর আউটপুট ১৬ শতাংশের বেশি হতে পারে।সর্বশেষ দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন আপডেটে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া আগামী দুই বছরের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল অঞ্চল হিসেবে থাকবে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি দশমিক শতাংশ হবে। ২০২৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি শতাংশ হবে। এর মধ্যে ভারত বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী হবে। পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ক্রমাগত কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ হুমকিস্বরূপ টেকসই প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দেয়; কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জলবায়ু ধাক্কার মতো বিষয়  অঞ্চলের সক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে।  বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার জানান, দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা স্বল্পমেয়াদে উজ্জ্বল থাকবে। ভঙ্গুর আর্থিক অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ধাক্কার কারণে কালো মেঘ দেখা দেবে। প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি জোরদার করতে হবে।

Categories:

Tagged:

Comments are closed