যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, ইরানের দীর্ঘদিনের পারমাণবিক কর্মসূচি বর্তমানে কার্যত ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’ অবস্থায় রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা, বিশেষ করে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সামরিক পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য আসলো।
পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোর একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা এখন আর আগের মতো প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং সম্পূর্ণ কাঠামো ধরে রাখতে পারছে না।”
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইসরায়েলের গোপন অভিযানের মাধ্যমেই ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় বড় ধরণের ক্ষতি করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পক্ষই দায় স্বীকার করেনি।
তেহরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইরানি মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, “আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) নিয়ম অনুসরণ করে চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যাচার করছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি এমন সময় এলো, যখন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি এক নতুন মোড় নিচ্ছে। বিশেষ করে ইরানের ওপর সম্ভাব্য নতুন নিষেধাজ্ঞা বা সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। অনেকেই মনে করছেন, এই তথ্য ফাঁসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করার কৌশল হতে পারে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তি ও সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “পারমাণবিক ইস্যুতে উত্তেজনার বদলে কূটনৈতিক সমাধান খোঁজা জরুরি।”
যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াবে, তবে একইসাথে এটি নতুন করে সামরিক উত্তেজনার জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে কূটনৈতিক মহল।
Comments are closed