VTVUS

NEWS24/7

ঢাকা, (২এপ্রিল),  ঈদের পর পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদামের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান শুরু করা হবে। শ্যামপুরে কেমিক্যাল পল্লি গড়ে তোলা হয়েছে।যেসব ব্যবসায়ী পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তর করবেন না, তাদের গুদামে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) তাদের কার্যালয় মিলনায়তনে ‘পুরোনো ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক সভাটির আয়োজন করে।মেয়র বলেন, পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকায় যেন কেমিক্যাল গুদাম না হয় এজন্য লাইসেন্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে লাইসেন্স নিয়ে পুরান ঢাকায় গুদাম করা হয়। ঈদের পর আমরা আর শুনবো না।  

তিনি বলেন, পুরান ঢাকা থেকে হকার উচ্ছেদে বড় বাধা বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ও দোকানদাররা। সিটি করপোরেশন থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ও ফুটপাত সংলগ্ন দোকানদারের সহযোগিতায় আবার হকাররা সে জায়গা দখল করে। সবার সহযোগিতা না পেলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে উচ্ছেদ সম্ভব নয়।নিউমার্কেটকে দেশের সবচেয়ে ক্রেতাবান্ধব মার্কেট উল্লেখ করে ফজলে নূর তাপস বলেন, এখানে সিটি করপোরেশনের মার্কেট রয়েছে মাত্র ৪১২টি। কিন্তু এখানে দোকানের সংখ্যা কয়েক হাজার। সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে বৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়া ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানের সামনে অবৈধভাবে ভাড়া দেন, যা নিউমার্কেটকে মানুষের চলাচল অনুপযোগী করেছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এসব দোকান উচ্ছেদের পর বিভিন্ন দোকানদার, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ও লাইনম্যানের সহযোগিতায় আবার বসে। বৈধ দোকানদাররা নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি করে অবৈধভাবে ভাড়া দিয়ে বাড়তি কিছু লাভ করেন।

মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে আটটি ফুটপাতকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকা থেকে হকারদের পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।মেয়র জানান, কামরাঙ্গীর চরে পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রীয় ব্যবসাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি মতিঝিল ও চকবাজারকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। মেট্রোরেলের কাজ চলমান থাকার কারণে এতদিন মতিঝিলে হাত দেওয়া হয়নি। মতিঝিলকে  পুনরুজ্জীবিত করতে শিগগির কাজ শুরু হবে।ফজলে নূর তাপস আরও বলেন, যেখানে-সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে বাস কাউন্টার থাকা যানজটের অন্যতম কারণ। সায়েদাবাদকেন্দ্রিক সমস্ত বাসের কাউন্টার হবে টার্মিনালের ভেতরে। টার্মিনালের বাইরে কেউ কাউন্টার করতে চাইলে ঢাকার বাইরে চলে যেতে হবে, কাউন্টারের কারণে যানজট হতে দেওয়া যাবে না।  

Categories:

Tagged:

Comments are closed