জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে শিক্ষাঙ্গন ও রাজনীতি। বুধবার রাত ১০টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশের ব্যারিকেডে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ ঘটনা ঘটে।
পরদিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মাহফুজ আলম বলেন, “তাদের নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির প্রতি হিংসা ও অনলাইন হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ আজ এখানে ঘটেছে।”
তবে বোতল ছোঁড়ার দায়ে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হুসাইন (২০২৩-২৪ সেশন) জানান, “ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। আমি বোতলটি আকাশের দিকে ছুঁড়ে মারি, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও গায়ে লাগানোর জন্য নয়।”
বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের হুসাইন বলেন, “আমি কোনো ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় আগে আমাকে পুলিশ মেরেছে, এখন ছাত্রলীগ ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি জানান, “আমি টিউশন ও পার্ট টাইম চাকরি করে পড়ালেখার খরচ চালাই, রাজনৈতিক সংগঠনে জড়িত থাকার সময় নেই। ঘটনার পর থেকে আমাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “উপদেষ্টার প্রতি এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত নিকৃষ্ট।”
তবে রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন দাবি করেন, “এ ঘটনায় জবির সাধারণ শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। উপদেষ্টা মাহফুজ নিজের ব্যক্তিগত ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। তার মানসিক কাউন্সিল প্রয়োজন।”
ঘটনার তদন্ত ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মহল এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছে।
Comments are closed