VTVUS

NEWS24/7

নিউইয়র্ক, ২৮ মার্চ ২০২৩

“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সকল ক্ষেত্রে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান লাভ করেছে”-আজ নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ।

তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লক্ষ মা-বোন এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সাথে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত বিজয়কে ত্বরান্বিত করার নিমিত্ব যুদ্ধক্ষেত্রে এবং কূটনৈতিক ফ্রন্টে যারা আমাদেরকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করেছেন, সে সকল বন্ধুপ্রতিম দেশগুলির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

পররাষ্ট্র সচিব মোমেন বলেন, “স্বাধীন দেশ হিসেবে আমরা একটি রূপান্তরমূলক উন্নয়ন যাত্রা পার করেছি। একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত, দরিদ্র দেশ থেকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে আজ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনকেন্দ্রিক উন্নয়নের মডেল দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে এই যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, সাহসী নীতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল আমাদের দ্রুত প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর এবং স্বনির্ভরতার দিকে নিয়ে গেছে”। তিনি আরো বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখি-সমৃদ্ধ-উন্নত দেশে রূপান্তর করা, যার জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ অভিযাত্রা শুরু করেছেন এবং আমরা আমাদের এই দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। বক্তব্যের শুরুতে তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ২ লাখ মা-বোনকে যাদের মহান আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমদের মহান স্বাধীনতা। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত পররাষ্ট্র নীতি “সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়”-এর কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতিসংঘের কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে আমরা গভীরভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি। তিনি জাতিসংঘের বহুপাক্ষিকতা এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তার বক্তব্য শেষ করেন।

এ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের ১০০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসংঘ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদেরকে ইফতার পরিবেশন করা হয় এবং তাদের সম্মানে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার দিয়ে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

VtvUS, New York.

Categories:

Tagged:

Comments are closed