পিলখানায় সম্পূর্ণটাই বিডিআর সদস্য দ্বারা সংঘটিত, এখানে কোনো ‘ইফ’ ‘বাট’ নাই: সেনাপ্রধান
ঢাকা: মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ষষ্ঠদশ বার্ষিকীতে দেশে বিরাজমান পরিস্থিতির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে কঠোর ভাষায় তার দেওয়া এ বক্তব্য নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর মঙ্গলবার পর্যন্ত সেনাপ্রধানকে কখনো এমন কড়া ভাষায় বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি। এজন্য তার এদিনের বক্তব্যকে সবদিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন সচেতন মহল।
জনরোষের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে এ সরকার তাদের কার্যক্রমের ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেছেন ড. ইউনূস। এই অধ্যায়ে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সংবিধান, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্যের জায়গাগুলো বের করতে চাইছেন।
তবে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পুলিশসহ বাহিনীগুলো পুরোপুরি সক্রিয় হতে না পারার কারণে এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খানিকটা অবনতি হয়েছে। যদিও যতটা অবনতি হয়েছে, তার চেয়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে একই ধরনের প্রতিবেদন প্রচার হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে সরকার সংশ্লিষ্টদের কাছে। কিন্তু চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই রোধে তৈরি হচ্ছে জনমত। খোদ বিভিন্ন এলাকার মানুষই রাত জেগে এসব অপরাধ ঠেকাতে পাহারা-টহল শুরু করেছে। ফলে এসব ইস্যুতে নতুন করে ‘মব’ (দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা) তৈরির আশঙ্কা জাগছে। অবশ্য, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপও দৃশ্যমান হচ্ছে নাগরিকদের কাছে।
এমন পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। এর একটা বিশাল বড় কারণ হচ্ছে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই প্যানিকড (আতঙ্কিত)। বিভিন্ন দোষারোপ, গুম-খুন ইত্যাদির তদন্ত চলছে। অবশ্যই তদন্ত হবে, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন এই অর্গানাইজেশনগুলো (প্রতিষ্ঠান/সংস্থা) আন্ডারমাইন (হেয়) না হয়। এ অর্গানাইজেশনগুলোকে আন্ডারমাইন করে আপনারা যদি মনে করেন সবাই শান্তিতে থাকবেন, দেশে শান্তি বিরাজ—করবে সেটা হবে না। ’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই—এগুলো দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে এর আগে। কিছু খারাপ কাজের সঙ্গে অসংখ্য ভালো কাজ করেছে। আজকে এতো বছর যে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে, সেটা সামরিক-অসামরিক মিলে এতোদিন যে সবাই মিলে এই অর্গানাইজেশনগুলোকে ইফেক্টিভ (কার্যকর) রেখেছে, এজন্য এতোদিন ধরে একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি। এর মধ্যে যারা কাজ করেছে, যদি অপরাধ করে থাকে সেটার শাস্তি হবে। অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। নাহলে এই জিনিস আবার ঘটবে। আমরা সেটাকে বন্ধ করতে চাই চিরতরে। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে আমরা এমনভাবে কাজটা করতে চাই এ সমস্ত অর্গানাইজেশনগুলো যেন আন্ডারমাইন (হেয়) না হয়। ’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি, এই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা শুধু সেনাবাহিনীর কাজ না। দুই লক্ষ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র্যাব আছে, আনসার-ভিডিপি আছে। আমার আছে ৩০ হাজার সৈন্য। এই যে একটা বিরাট শূন্যতা। ৩০ হাজার আসে আবার ৩০ হাজার ক্যান্টনমেন্টে যায়, আবার ৩০ হাজার আসে। এটা দিয়ে আমরা দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে যেসমস্ত উচ্ছৃঙ্খল কাজ হয়েছে, সেটা আমাদের নিজস্ব তৈরি। এটা আমাদের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারড, যেটা আমরা বুঝে-শুনে তৈরি করেছি। এই বিপরীতমুখি কাজ করলে দেশে কখনো শান্তি-শৃঙ্খলা আসবে না। এই জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর মধ্যে উপস্থিত ছিল কি না, ইনভলভড (যুক্ত) ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি এর মধ্যে ইনভলভ ছিল কি না, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। উনি এটা বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন। বটমলাইন (মোদ্দাকথা) হচ্ছে যে এই সমস্ত, আমাদের এই চৌকস সেনাসদস্য, যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তারা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে। আমরা নিজেরা এসব জিনিস নিয়ে অনেক ভিন্নমত পোষণ করছি কেউ কেউ। এই জিনিসটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। ’
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বিভক্তি এখন তিক্ততার পর্যায়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি এমনকি মারামারির ঘটনাও ঘটছে। ওই প্রসঙ্গ টেনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করেছেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সতর্ক করছি, আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন; এ দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজকে বলে দিলাম, নইলে আপনারা বলবেন আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের। ’
সেনাবাহিনী যে অনন্তকাল ব্যারাকের (সেনানিবাস) বাইরে থাকতে পারবে না সে বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, ‘আজকে একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা জাতিটাকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে ছুটি নেওয়া। (প্রধান উপদেষ্টা) ড. মুহাম্মদ ইউনূস যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন দেশকে ইউনাইটেড (ঐক্যবদ্ধ) রাখার। ’এজন্য একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সহযোগিতার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন সেনাপ্রধান। সেই নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি, ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম। ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। ’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা পরিসরে সেনাবাহিনী নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করে জেনারেল ওয়াকার বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করবেন না। সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারও কারও, কী কারণে জানি না। আমাদের সাহায্য করেন, আক্রমণ নয়। আমাদের উপদেশ দেন, আমি সবার কাছে শরণাপন্ন হই, আমরা ভালো উপদেশ গ্রহণ করব। আমরা এক থাকতে চাই, দেশ ও জাতিকে আমরা রক্ষা করতে চাই। ’
সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে নানা আলোচনা
দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে এই বক্তব্যের মাধ্যমে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যেমনিভাবে সবাইকে উপদেশ দিয়েছেন, তেমনি যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন, তাদের সমালোচনা করে সতর্কও করেছেন।
তার এই বক্তব্য সচেতন মহলে ঘটিয়েছে ভাবনার উর্দ্রেক। বিশ্লেষণ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পরিসরে। বলা হচ্ছে, এটা রাজনীতিবিদদের জন্য যেমন বার্তা, তেমনি অন্যদের জন্যও সতর্কতা। অনেকে মনে করছেন, ভবিষ্যতে পরিস্থিতির অবনতি হলে আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’র মতো সরকার আসার আশঙ্কা রয়েছে। আবার সেনাপ্রধান তার ‘অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই’ বলে যে অঙ্গীকার করেছেন, তার উপরই আস্থা রাখতে চাইছেন অনেকে।
হানাহানি-বিশৃঙ্খলায় জড়িত পক্ষ এবং দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির দিকে ইঙ্গিত করে তার বক্তব্য রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন আন্দোলনমুখী গ্রুপগুলোর জন্য বার্তাও বটে। তারা যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করার অঙ্গীকারের প্রতি শৈথিল্য দেখান সেটা উদ্বেগজনক পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার শাসনামলে অভিযুক্ত বিডিআর সদস্যদের বিচার হয়েছে। অনেকের সাজা হয়েছে। অনেকে খালাস পেয়েছেন। হাসিনার পতন ঘটলে ওই হত্যাযজ্ঞ নতুন করে তদন্তের দাবি ওঠে। বিশেষ করে হত্যাকাণ্ডের শিকার কিছু সেনা কর্মকর্তার পরিবার এবং আসামি হওয়া বিডিআর সদস্যদের স্বজনরা ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৎকালীন সরকার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাদের যোগসাজশ ছিল বলে অভিযোগ তোলেন। এমনকি সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে এই ঘটনায় প্রতিবেশী একটি দেশের ষড়যন্ত্রের কথাও বলেন কেউ কেউ।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তরে বাহিনীটির কিছু বিপথগামী সদস্যের বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা প্রাণ হারানোর বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্য দ্বারা সংঘটিত। ফুলস্টপ। এখানে কোনো ইফ এবং বাট (যদি ও কিন্তু) নাই। এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এতদিন ধরে হয়েছে, ১৬ বছর ধরে, ১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা কনভিকটেড, সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। ’
সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সেনাপ্রধানের এদিনের বক্তব্যও তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকে বলছেন, ঢালাও অভিযোগের চর্চা থেকে বেরিয়ে তদন্তের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান রয়েছে সেনাপ্রধানের বক্তব্যে। কারণ ঘটনাটি নতুন করে তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন কাজ করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিষয়ে চলমান যে আলোচনা, তা নিয়েও সেনাপ্রধানের বক্তব্য গুরুত্ববহ। তিনি বলেছেন, এসব বাহিনীকে হেয় করেও যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ বাহিনী সমূহের কাজের জন্য তাদের সমালোচনার পরিবর্তে উপদেশ চান। তার এই বক্তব্য বাহিনী ও সংস্থাগুলোতে মনোবল ও শৃঙ্খলার রসদ জোগাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
দেশের বিভিন্ন বিষয়ে ভারত সরকারের নানা পর্যায়ের বক্তব্য জনমনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। আগ্রাসনবাদী মনোভাব থেকে ভারত সরকারের মন্ত্রীরা এমন বক্তব্য দিয়ে থাকেন বলে ঢাকার বিভিন্ন মহল মনে করে। এর মধ্যে সম্প্রতি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নদীর পাড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি, যা দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে। সেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইলে বড় দাদা ও মাস্তানিসুলভ আচরণ পরিহার করতে হবে।
দেশ-জাতিকে সুন্দর অবস্থানে নিয়ে সেনানিবাসে ফিরতে চাই: সেনাপ্রধান
এমন নানা হিসেব-নিকেশের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে জড়িত দল ও পক্ষগুলোকে সতর্ক করার জন্য সেনাপ্রধান বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। অবশ্য সেনাপ্রধান দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের প্রতি নিজের অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন। এজন্য সবাইকে একত্রে কাজ করার পরামর্শ দেন।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ বক্তব্যের বিষয়ে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি লিখেছেন, ‘দেশের সেনাপ্রধান তো আর বিড়াল না যে মিঁউ মিঁউ কইরা কথা বলবেন। তিনি সৈনিক, সৈনিকের মতোই কথা বলবেন। প্রেম-পিরীতের মিষ্টি আলাপ, আর বাইসেপ দেখায়ে চেঁচামেচি করা তাঁর কাজ না। ’
এদিন বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের শক্তি। সবসময় দেখেছি, জাতির দুঃসময়ে তারা এগিয়ে আসে।তার বক্তব্যেও এদিন ঐক্যের বার্তা আসে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা সবাই ধৈর্য ধরবেন, ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। দেশের সব মানুষকে আহ্বান জানাই, কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে, তর্ক-বিতর্ক বন্ধ করে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। জাতির ঐক্যবদ্ধ থাকার মধ্য দিয়ে আমরা একটি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারি। ’
Comments are closed