বান্দরবান: (৯ এপ্রিল) বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৪৮ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রুমা থানায় দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় তাদের বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইনের আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় বান্দরবান সদর থানা থেকে তিনটি বাসে তাদের আদালতে আনা হয়। বান্দরবান সদর কোট পুলিশ পরিদর্শক একে ফজলুল হক জানান, সকালে একজন, দুপুরে দুই দফায় মোট ৫১ জনকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। এদিকে একই দিন বিকেলে থানচি থানার মামলায় ভানুনুন নুয়ান বম, জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বমকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি আরও জানান, সোমবার কেএনএফের দুজনকে আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে গত দুদিনে কেএনএফের ৫৪ জনকে আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিন শাখায় সশস্ত্র হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুটের ঘটনার পর বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আর্মড পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে অভিযান চালাচ্ছেন। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোছাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, এই পর্যন্ত ৫৪ জনকে আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং জেলাজুড়ে সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে এ অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে চারটি সাঁজোয়া যান এপিসি। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে।
হঠাৎ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় জেলাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, সাধারণ মানুষ এখনো আতঙ্ক-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
Comments are closed