ঢাকা: বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম চার টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে।থেকেই এ দাম কার্যকর হচ্ছে। দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল সমিতির একটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক একটি বৈঠক হয়েছে। আপনারা জানেন, ট্যারিফ কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা আমরা আন্তর্জাতিক বাজার মনিটর করি। আমদানিকৃত পণ্যের যৌক্তিক নির্দেশক মূল্য আমরা ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে জানি, যাতে মূল্যটা যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা একটু দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত না দেব, ততক্ষণে বাজারে সাপ্লাইয়ে (সরবরাহ) ব্যাঘাত ঘটবে। এটি যাতে না হয়, সে জন্যই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।প্রতিমন্ত্রী জানান, খোলা সয়াবিনের লিটার ১৪৯ টাকা থেকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা করা হয়েছে। পাঁচ লিটার সয়াবিনের বোতল ৮০০ টাকা ছিল, সেটি বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুপার পাম অয়েলের দাম আগে নির্ধারণ করা ছিল না, এবার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লিটার ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দাম বাড়ালে তা তাৎক্ষণিক কার্যকর হয় কেন, এমন প্রশ্ন সাংবাদিকদের থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলে মিলগেট থেকে ভ্যাট দিয়ে পণ্য বের করতে হয়। এ কারণে এখানে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সুযোগ থাকে না আমাদের কাছে। আর আমদানি করে মিলগেটে এনে প্রসেস করতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে।
খোলা সয়াবিনের দাম কমল, বোতলের সয়াবিনের দাম বাড়ল কেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু টেকনিক্যাল কারণে খোলা সয়াবিনের দাম আমরা কমাতে পেরেছি। আর বোতল যেহেতু লেবেল করা থাকে এবং সিলড থাকে, তাতে খুচরা পর্যায়ের ভ্যাট ফ্যাক্টরি পর্যায়ে আদায় করা হয়। খোলা তেলের বাজারে ফ্লেক্সিবিলিটি আছে, বোতলজাত তেলের ক্ষেত্রে নেই।
Comments are closed