রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার বলেছেন, ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার জবাবে মস্কো কঠোর প্রতিক্রিয়া নেবে। এই কথা তিনি ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, যা ট্রাম্প নিজেই সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে নিশ্চিত করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, তারা ইউক্রেনের হামলা এবং উভয় পক্ষের বিভিন্ন সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা করেছেন। পুতিন স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক হামলার জবাবে তিনি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। ট্রাম্প জানান, “আলোচনাটি ইতিবাচক ছিল, তবে তাৎক্ষণিক কোনো শান্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।”
মস্কো আগেই জানিয়েছিল, ইউক্রেনের সাম্প্রিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা সামরিক বিকল্প বিবেচনা করছে এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে এ হামলার জন্য দায়ী করেছে। তবে ইউক্রেন দাবি করে, এই হামলাগুলো তাদের প্রতিরোধ শক্তির পরিচায়ক। ব্রিটিশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন বিমানঘাঁটিতে হামলার পূর্বে তাদের কাছে কোনো তথ্য ছিল না।
ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতেন, কিন্তু রাশিয়ার সহযোগিতা না পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এতে পুতিনের প্রতি তার অসন্তোষও প্রকাশ পেয়েছে।
ইরান ইস্যুতেও পুতিন-ট্রাম্পের আলোচনা
উল্লেখ্য, একই ফোনালাপে পুতিন ও ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, পুতিন তেহরানের সঙ্গে নতুন পরমাণু চুক্তি আলোচনা করতে রাজি আছেন।
ট্রাম্প লিখেছেন, “আমি পুতিনকে বলেছি, ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত নয়। এ বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে আছি বলে আমি বিশ্বাস করি।” তিনি আরও বলেন, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনায় বিলম্ব ঘটাচ্ছে, যা এখন দ্রুত সমাধানের প্রয়োজন।
পুতিন ইতোমধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকে জানিয়েছেন, মস্কো তেহরানের পারমাণবিক আলোচনায় সহযোগিতা করবে। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ওয়াশিংটনের প্রস্তাব তাদের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং পারমাণবিক বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য এখনো গভীর।
বিশ্লেষণ:
ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধির মাঝে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ইরান ইস্যুতে কৌশলগত আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বাস্তবায়নের পথে নানা জটিলতা ও আঞ্চলিক অবস্থা রয়েছে, যা ভবিষ্যতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Comments are closed