মঙ্গলবার (১৮ জুন) চোরাই পথে ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে বিজিবি সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে। এরই মধ্যে যশোরের সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এ ছাড়াও সীমান্ত এলাকার সড়কগুলোতে যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে।
সকালে যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল এ তথ্য জানিয়েছেন। ঈদের দিন বিকাল থেকে আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত এ সতর্কতা জারি থাকবে বলে তিনি জানান।
এদিকে সীমান্তে বিজিবির পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য প্রশাসনেরও নজরদারি রয়েছে। তবে চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এবার পাচারের শঙ্কা রয়েছে বলে বিক্রেতারা জানান।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে দেশের বাজারে চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় পাচারের শঙ্কা বেড়েই চলেছে। তবে দেশের সম্পদের পাচার ঠেকাতে প্রতি বছর বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তজুড়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। এ বছরও পাচার রোধে বিজিবির সদর দফতর থেকে নির্দেশ এসেছে। এরপরই ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবি কোরবানির দিন থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত সীমান্তের বিশেষ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই মধ্যে সব পয়েন্টে বিশেষ টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এ ছাড়া পাচার প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চেয়েছে বিজিবি।
চামড়া ক্রেতা মশিয়ার রহমান জানান, ৭০০ টাকায় কেনা চামড়া বিক্রির সময় ৫০০ টাকা বলছে। আর ছাগলের চামড়ার দাম ৫০ টাকা। এরকম দাম থাকলে চামড়া পাচার হতে পারে মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকা থেকে বেনাপোলে চামড়া কিনতে আসা ব্যবসায়ী বলেন, ‘এবার কোরবানির পশুর চামড়ার সরবরাহ কম। আবার মানও ভালো না। তাই বেশি দাম দিয়ে কিনতে পারছেন না।’
চামড়া বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে নানা অজুহাত দেখিয়ে সেই দাম দেওয়া হচ্ছে না। এবার লোকসান গুনতে হবে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সুমন ভক্ত জানান, কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে। সীমান্ত অভিমুখে প্রবেশের সময় চালকদের জিজ্ঞাসাবাদসহ ও যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।
যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, ‘কোরবানির পশুর চামড়া যাতে পাচার না হয়, সেজন্য সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এই সতর্কতা কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।’
Comments are closed