VTVUS

NEWS24/7

ওমরাহ—একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা মুসলমানদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। মূলত হজ্বের মতো নয়, তবে হজ্বের অনেক অনুরূপ আমল সংবলিত এই ইবাদতটি বছরের যে কোনও সময় পালন করা যায়। হজ্ব ফরজ হলেও ওমরাহ সুন্নত। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জীবদ্দশায় চারবার ওমরাহ আদায় করেছিলেন।

ওমরাহর সংজ্ঞা ও প্রয়োজনীয়তা
আরবিতে ‘ওমরাহ’ শব্দের অর্থ—জিয়ারত বা দর্শন। ইসলামী পরিভাষায়, নির্ধারিত সময়ে বাইতুল্লাহ শরীফে গিয়ে নির্ধারিত নিয়মে তাওয়াফ, সাঈ ও কেশকর্তন বা মুণ্ডন করাকে ওমরাহ বলা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই ইবাদত সম্পন্ন করা যায় পুরো বছরজুড়ে। হাদীসে বলা হয়েছে, এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ—এর মধ্যকার পাপরাশি মাফ করে দেয়।

ওমরাহর ফরজ ও ওয়াজিব
ওমরাহ পালনে দু’টি ফরজ রয়েছে—
১. ইহরাম: নির্ধারিত মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরামের মাধ্যমে ওমরাহ শুরু হয়।
২. তাওয়াফ: কাবা শরীফের চারপাশে সাতবার ঘোরা।

ওয়াজিব হলো—
১. সাঈ: সাফা ও মারওয়ার মাঝখানে সাতবার দৌঁড়ানো।
২. হালক বা কসর: মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা।

ওমরাহর সুন্নত ও দোয়া
ওমরাহ পালনকালে বেশ কিছু সুন্নত আমল রয়েছে—ইহরাম বাঁধার পূর্বে গোসল, ইহরামের কাপড়ের রং সাদা হওয়া, কাবা দেখা মাত্র তাকবির ও দোয়া পাঠ করা ইত্যাদি।
তাওয়াফের সময় ইস্তিগফার, দরুদ, তাসবিহ ও বিভিন্ন দোয়া পাঠ করা মুস্তাহাব।

মহিলা ওমরাহ পালনকারীদের জন্য বিশেষ বিধান
মহিলারা মাহরাম ছাড়া ওমরাহ করতে পারবেন না। কাপড়ের ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখতে হয়, তবে নির্দিষ্ট কোনো পোশাক নেই। মুখ ও হাত খোলা রাখা বাধ্যতামূলক।

ওমরাহ সম্পাদনের ধাপসমূহ
১. ইহরাম বাঁধা ও নিয়ত
২. মসজিদুল হারামে প্রবেশ
৩. কাবা শরীফ তাওয়াফ
৪. সাঈ করা
৫. চুল কাটানো (হালক বা কসর)

উপসংহার
ওমরাহ ইসলামের একটি অত্যন্ত মূল্যবান ইবাদত। এটি আত্মার পরিশুদ্ধি, পাপ মোচন এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি বিরাট সুযোগ। প্রস্তুতি ও শুদ্ধ নিয়তের মাধ্যমে এই ইবাদত পালনের মাধ্যমে মুসলমানেরা দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ লাভ করতে পারেন।

Categories:

Tagged:

Comments are closed