VTVUS

NEWS24/7

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও তীব্র হচ্ছে নির্বাচন ও সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে দেশের প্রভাবশালী তিন রাজনৈতিক দল- বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একযোগে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে।

যদিও শুরুতে এই তিন দলই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিল, এখন তারাই সরকারের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এতে করে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে নতুন এক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ছায়া তৈরি হয়েছে।

বিএনপি নেতৃত্ব সম্প্রতি অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার কার্যত নিরপেক্ষ অবস্থান হারিয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষায়,

“সরকারের প্রশাসনিক ও নীতিনির্ধারণী কর্মকাণ্ডে পক্ষপাতের প্রমাণ মিলছে। নিরপেক্ষতার মুখোশ খুলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।”

বিএনপি দাবি করছে, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠীর স্বার্থে নীতি নির্ধারণ করছে, যা গণতন্ত্রের জন্য “বিপজ্জনক সংকেত”।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর পর গঠিত ছাত্র নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবার নতুন প্রশ্ন তুলেছে, সরকার কি “সেফ এক্সিট” খুঁজছে?

এনসিপির নেতা তন্ময় আহমেদ বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে এটি হয়তো একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নয়, বরং ক্ষমতা থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি।”

দলটি দাবি করছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে, যাতে দেশের জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত না হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই তিন দলের অবস্থান সরকারের প্রতি আস্থাহীনতার প্রতিফলন।

সাম্প্রতিক এই অভিযোগগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন এক মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। একদিকে সরকার দাবি করছে তারা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও আইন অনুযায়ী কাজ করছে, অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বলছে এই নিরপেক্ষতা কেবল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ।

আগামী নির্বাচনের আগে এই টানাপোড়েন কিভাবে গড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, প্রথম আলো

Categories:

Tagged:

Comments are closed